- আয়াত ও হাদীস
মুমিনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
কুরআন
t انى
وجهت وجهى للذي فطر السموات والارض حنيفا وما انا من المشركين ـ (انعام ـ 79)
উচ্চারণ: : ইন্নী ওয়াজজাহাতু ওয়াজহিইয়া লিল্লাযী ফাতরাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানীফাও ওয়া মা আনা মিনাল মুশরিকীন।
(১) আমি তো একমুখী হয়ে নিজের লক্ষ্য সেই মহান সত্তার দিকে কেন্দ্রীভূত করছি যিনি যমীন ও আসমানসমূহকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমি কনিকালেও মুশরিকদের মধ্যে শামিল নই। (সূরা আনয়াম: ৭৯)
উচ্চারণ: : ইন্নী ওয়াজজাহাতু ওয়াজহিইয়া লিল্লাযী ফাতরাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানীফাও ওয়া মা আনা মিনাল মুশরিকীন।
(১) আমি তো একমুখী হয়ে নিজের লক্ষ্য সেই মহান সত্তার দিকে কেন্দ্রীভূত করছি যিনি যমীন ও আসমানসমূহকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমি কনিকালেও মুশরিকদের মধ্যে শামিল নই। (সূরা আনয়াম: ৭৯)
হাদীস tعن
ابى امامة (رض) قال قال رسول الله (صلعم) من احب لله وابغض لله وعطى لله ومنع لله
فقد استكمل الايمان ـ (بخاري)
(১) হযরত আবু উমামা (রা) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তির ভালবাসা ও শত্রুতা, দান করা ও না করা নিছক আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধানের জন্যেই হয়ে থাকে, সে ব্যক্তিই পূর্ণ ঈমানদার। (বুখারী)
প্রথম দফা : দাওয়াত
কুরআন
tيايها
المدثر ـ قم فانذر ـ وربك فكبر ـ (مدثر : 1-3)
উচ্চারণ: : ইয়া আইয়ুহাল মুদ্দাচ্ছির, কুম ফাআনযির, ওয়া রাব্বাকা ফাকাব্বির।
(১) হে আবৃত শয্যাগ্রহণকারী। উV সাবধান কর, আর তোমার রবের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর। (সূরা মুদ্দাসির : ১-৩)
উচ্চারণ: : ইয়া আইয়ুহাল মুদ্দাচ্ছির, কুম ফাআনযির, ওয়া রাব্বাকা ফাকাব্বির।
(১) হে আবৃত শয্যাগ্রহণকারী। উV সাবধান কর, আর তোমার রবের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর। (সূরা মুদ্দাসির : ১-৩)
وَمَنْ اَحْسَنُ قَوْلاَ مِّمَّنْ دَعَآ
اِلى اللهِ وَعَمِلَ صَلِحًاوَقَلَ اِنَّنِىْ مِنَ الْمُسْلِمِيْنَ ـ (السجدة :
32)
উচ্চারণ: : ওয়া মান আহসানু কাওলাম মিম্মান দাআ’ ইলাল্লাহি ওয়া আ’মিলা ছালিহাও ওয়া কালা ইন্নানী মিনাল মুসলিমীন।
(২) তার কথার চাইতে আর কার কথা উত্তম হতে পার? যে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকে, নেক আমল করে এবং ঘোষণা করে আমি মুসলমানের অন্তর্ভূক্ত। (সূরা হা-মীম আস-সাজদা: ৩৩)
উচ্চারণ: : ওয়া মান আহসানু কাওলাম মিম্মান দাআ’ ইলাল্লাহি ওয়া আ’মিলা ছালিহাও ওয়া কালা ইন্নানী মিনাল মুসলিমীন।
(২) তার কথার চাইতে আর কার কথা উত্তম হতে পার? যে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকে, নেক আমল করে এবং ঘোষণা করে আমি মুসলমানের অন্তর্ভূক্ত। (সূরা হা-মীম আস-সাজদা: ৩৩)
দ্বিতীয় দফা : সংগঠন
কুরআন
وَعَتَصِمُوْا بِحَبْلِ اللهِ جَمِيْعًا وَّلاَتَفَرَّقُوْا ـ (العمران : 103)
উচ্চারণ: : ওয়া’তাছিমূ বিহাবলিল্লাহি জামিআ’ও ওয়ালা তাফারাকূ।
(১) তোমরা সংঘবদ্ধভাবে আল্লাহর রজ্জুকে ধারণ কর এবং পরষ্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। (সূরা আলে ইমরান: ১০৩)
উচ্চারণ: : ওয়া’তাছিমূ বিহাবলিল্লাহি জামিআ’ও ওয়ালা তাফারাকূ।
(১) তোমরা সংঘবদ্ধভাবে আল্লাহর রজ্জুকে ধারণ কর এবং পরষ্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। (সূরা আলে ইমরান: ১০৩)
يآيُّهَا الَّذِيْنَ امَنُوْا
اَطِيْعُوْا اللهَ وَاَطِيْعُوْا الرَّسُوْلَ وَاُوْلِىْ الاَمْرِ مِنْكُمْ ـ
(نساء : 59)
উচচারণ: : ইয়াআউয়ুহাল্লাযীনা আমানূ আতিউ’ল্লাহা ওয়া আতিউস রাসূলা ওয়া উলিল আমরি মিনকুম।
(২) হে মুমিনগণ! আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসূলের (সা) আনুগত্য কর এবং তোমাদের দায়িত্বশীলদের আনুগত্য কর। (সূরা নিসা: ৫৯)
উচচারণ: : ইয়াআউয়ুহাল্লাযীনা আমানূ আতিউ’ল্লাহা ওয়া আতিউস রাসূলা ওয়া উলিল আমরি মিনকুম।
(২) হে মুমিনগণ! আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসূলের (সা) আনুগত্য কর এবং তোমাদের দায়িত্বশীলদের আনুগত্য কর। (সূরা নিসা: ৫৯)
(مسلم) عَنْ اِبْىْ
هُرَيْرَةَ (رض) قَالَ سَمِعْتُ رسُوْلَ اللهِ (ص) يُقُوْلُ مَنْ خَرَجَ مِنْ
الْطَّاعَةِ وَفَارَقَ الْجَمَاعَةَ فَمَاتَ مَاتَ مَيْتَهُ جَاهِلِيًةُ ـ (مسلم)
(৪) হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল (সা) কে এ কথা বলতে শুনেছি যে ব্যক্তি আমীরের আনুগত্যকে অস্বীকার করত: জামায়া
(৪) হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল (সা) কে এ কথা বলতে শুনেছি যে ব্যক্তি আমীরের আনুগত্যকে অস্বীকার করত: জামায়াত পরিত্যাগ করল এবং সেই অবস্থায়-ই মারা গেল, সে জাহেলিয়াতী মৃত্যুবরণ করল।
তৃতীয় দফা : প্রশিক্ষণ
কুরআন
t اِقْرَأْ
بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِيْ خَلَقَ ـ خَلَقَ الاِنْسَانَ مِنْ عَلَقٍ ـ اِقْرَأَ
وَرَبُّكَ الاَكْرَمُ الَّذِيْ عَلَّمَ بِالْقَلَمِ ـ عَلًَّمَ الاِنْسَانَ
مَالَمْ يَعْلَمْ ـ
উচ্চারণ: : ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাযী খলাক। খলাকাল ইনসানা মিন আলাক। ইকরা ওয়া রাব্বুকাল আকরামুল্লাযী আল্লামা বিলকালাম। আল্লামাল ইনসানা মালাম ইয়া’লাম।
(১) পড়ুন! আপনার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট বাঁধা রক্তপিন্ড থেকে। পাঠ করুন, আপনার প্রতিপালক মহামান্বিত, যিনি কলমের সাহায্য শিক্ষা দিয়েছেন, শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানতো না। (সূরা আলাক: ১-৫)
উচ্চারণ: : ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাযী খলাক। খলাকাল ইনসানা মিন আলাক। ইকরা ওয়া রাব্বুকাল আকরামুল্লাযী আল্লামা বিলকালাম। আল্লামাল ইনসানা মালাম ইয়া’লাম।
(১) পড়ুন! আপনার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট বাঁধা রক্তপিন্ড থেকে। পাঠ করুন, আপনার প্রতিপালক মহামান্বিত, যিনি কলমের সাহায্য শিক্ষা দিয়েছেন, শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানতো না। (সূরা আলাক: ১-৫)
وَعَنْ اِبْنِ عَبَّاسٍ قَالَ تَدَارَسُ الْعِلْمِ سَاعَمً مِّنَ اللّْلِ خَيْرٌ مِّنْ اَحْيَائِهَا ـ
(২) হযরত আবদুল্লাহ
ইবনে আব্বাস
(রা) হতে
বর্ণিত, তিনি
বলেন, রাতের
বেলা এক
ঘন্টা ইলমের
দারস বা
আলোচনা করা
পুরো রাত
জেগে ইবাদাত
করা হতে
উত্তম। (দারেমী)
. ইসলামী শিক্ষা আন্দোলন ও ছাত্র সমস্যা
اِقْرَاْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِيْ خَلَقَ ـ خَلَقَ الاْنْسَانَ مِنْ عَلَقٍ ـ اِقْرَاْ وَرَبُّكَ الاِكْرَمُ الَّذْىْ عَلَّمَ بِالْقَلَمِ ـ عَلَّمَ الانْسَانَ مَالَمْ يَعْلَمْ ـ (علق: 1-5)উচ্চারণ: : ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাযী খলাক। খলাকাল ইনসানা মিন আলাক। ইকরা ওয়া রাব্বুকাল আকরামুল্লাযী আ’ল্লামা বিলকালাম। আল্লামাল ইনসানা মা লাম ই’লাম।
(১) পড়, (হে নবী!) তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। জমাট বাঁধা রক্তের এক পিণ্ড হতে মানুষকে সৃষ্টি করছেন। পড়, আর তোমার রব বড়ই অনুগ্রহশীল। যিনি কলমের সাহায্যে জ্ঞান শিখিয়েছেন। মানুষকে এমন জ্ঞান দিয়েছেন যা সে জানত না। (সূরা আলাক : ১-৫)
اَلرَّحْمنُ عَلَّمَ الْقُوْانَ خَلَقَ الانْسَانَ ـ عَلَّمَهُ الْبَيَانَ ـ (الرحمن: 1-4)
উচ্চারণ: : আররহমান, আ’ল্লামাল কুরআন, খলাকাল ইনসান, আ’ল্লামাহুল বায়ান।
(২) পরম করুণাময় আল্লাহ এ কুরআনের শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন। এবং তাকে কথা বলা শিক্ষা দিয়েছেন। (সূরা আর রহমান : ১-৪)
হাদীস
عَنْ اِبْنِ عَبَّاسٍ (رض) قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ (صلعم) فِقِيْهٌ وَاحِدٌ اَشَدُّ عَلَى الشَّيْطَانِ مِنْ اَلْفِ عَابِدٍ ـ (ترمذى ـ ابن ماجاة)
(১) ইবনে আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, একজন ফকীহ অর্থ্যাৎ দ্বীনের গভীর বুৎপত্তিশালী ব্যক্তি শয়তানের পক্ষে এক হাজার আবেদের তুলনায় বেশী ক্ষমতাবান। (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)
عَنْ اِبْنِ عَبَّاسٍ (رض) قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ (صلعم) فِقِيْهٌ وَاحِدٌ اَشَدُّ عَلَى الشَّيْطَانِ مِنْ اَلْفِ عَابِدٍ ـ (ترمذى ـ ابن ماجاة)
(১) ইবনে আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, একজন ফকীহ অর্থ্যাৎ দ্বীনের গভীর বুৎপত্তিশালী ব্যক্তি শয়তানের পক্ষে এক হাজার আবেদের তুলনায় বেশী ক্ষমতাবান। (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)
ইসলামী বিপ্লব/জিহাদ
কুরআন اِنَّ اللهَ اَشْتَري مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ اَنْفُسَهُمْ وَاَمْوَلَهُمْ بِاَنَّ لَهُمُ الْجَنَّةَ يُقَاتِلُوْنَ فِىْ سَبِيْلِ اللهِ فَيْقْتُلُوْنَ وَيُقْتِلُوْنَ ـ (توبة : 111)
উচ্চারণ: : ইন্নাল্লাহাশতারা মিনালমুমি’নীনা আনফুসাহুম ওয়া আমওয়ালাহুম বিআন্না লাহুমুল জান্নাতা ইউকাতিলূনা ফী সাবীলিল্লাহি ফাইয়াকতুলূনা ওয়া উকতালূন।
(১) প্রকৃত কথা এই যে, মহান আল্লাহ তাআলা মুমিনের জান মাল জান্নাতের বিনিময়ে খরীদ করে দিয়েছেন, এখন তাদের কাজ হবে, তারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করবে, সে সংগ্রামে তারা যেমন মারবে, তেমন মরবেও। (সূরা তওবা : ১১১)
nv`xmt
عَنْ اَنَسِ بْنِ مَالِكِ (رض) عَنٍ النَّبِىِّ (صلعم) قَالَ لَغَدَوْةَ فِىْ سَبِيْلِ اللهِ اَوْرَوْحَةُ خِيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيْهَا ـ (بخاري)
(৪) হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা) হতে বর্ণিত রাসূল (সা) বলেছেন, আল্লাহর পথে একটা সকাল ও একটা বিকেল ব্যয় করা দুনিয়া ও এর এর সমস্ত সম্পদ থেকে উত্তম। (বুখারী)